তথ্যের উৎসঃ
নির্ধারিত কাজঃ
কাজের বর্ননাঃ
ভাষা আন্দোলন (১৯৫২)
ভাষা আন্দোলন বঙ্গবন্ধু মূখ্য উপস্থিত না থাকলেও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন। তিনি জেলে থেকেই ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য কাচামাল জুগিয়েছেন।১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সন্মেলনে গনতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়।এই সন্মেলনে শেখ মুজিব কিছু প্রস্তাবনা গৃহীত করে।তারই প্ররনায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ভাষাকে বাংলা করার জন্য ছাএরা একএিত হয়ে মিছিল করে যাতে পুলিশের গুলিতে সালাম রফিক বরকত সহ নাম না জানা অনেক শহিদ হয়।
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন(১৯৫৪)
বাঙালির জাতীয় স্মরণীয় দিনগুলোর মধ্যে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন অন্যতম।১৯৫৪ সালের ১০ মার্চ যুক্তফ্রন্ট সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটে জয় লাভ করে।কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এই জয় কে মেনে নিতে পারেনি।বরং বাঙালির ওপর আধিপত্য বিস্তার করে।মাএ আড়াই মাসের মধ্যে নির্বাচন বয়কট করে।এই নির্বাচন পর বঙ্গবন্ধুকে ৭ মাস কারাবন্দী করে রাখে।
বাঙালির মুক্তির সনদ (১৯৬৬)
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যে যুদ্ধ হয়েছিল সে যুদ্ধের সময় পূর্ববঙ্গ বা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ছিল সম্পূর্ণ অরক্ষিত। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ অঞ্চলের সুরক্ষার কোন গুরুত্বই ছিল না। ভারতের দয়ার উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল পূর্ব বাংলাকে। ভারত সে সময় যদি পূর্ববঙ্গে ব্যাপক আক্রমণ চালাত, তাহলে ১২শ মাইল দূর থেকে পাকিস্তান কোনভাবেই এ অঞ্চলকে রক্ষা করতে পারত না।
আর এরই প্রক্ষাফটে বাঙালির জন নেতা শেখ মুজিবর রহমানের বাঙালির অধিকার ৬দফা দাবি উপস্থাপন করে।
গনঅভ্যুত্থানে (১৯৬৯)
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক মুক্তি সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আইয়ুব খান সরকারের পতন ঘটে এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধু কে মুক্তি দেওয়াই ছিলো এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য।
সাধারণ নির্বাচন (১৯৬৯)
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক। সামরিক শাসন এবং পাকিস্তানী সামরিক জান্তার গণতন্ত্র বিরোধী অপশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ আন্দোলনের পর আসে ওই নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পরিষদের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ।
স্বাধীনতার ঘোষণা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। গ্রেফতার হবার একটু আগে শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান। শেখ মুজিব গ্রেফতার হবার পূর্বে ২৫মার্চ রাত ১২টার পর (অর্থাত,২৬মার্চ) টি.এন্ড.টি ও ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই.পি.আর) ওয়্যারলেসের মাধ্যমে মেসেজে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন(বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র,১৫শ খন্ড,পৃ:৫৬)। ২৫ মার্চ রাতের হত্যাযজ্ঞে আওয়ামী লীগের অনেক প্রধান নেতা ভারতে আশ্রয় নেয়। ২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের কয়েকজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান প্রথম শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি মাইকিং করে প্রচার করেন। পরে মার্চ ২৭ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর এক বাঙালি মেজর জিয়াউর রহমান ২৭ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। (সূত্র : মেজর জিয়া'র বেতার ঘোষনা এবং বেলাল মাহমুদের সাক্ষাত্কার) এই সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন কর্ণেল অলি আহমেদ (তত্কালীন ক্যাপ্টেন)। সরাসরি সেনাবাহিনীর থেকে আহব্বান পাওয়ার পর সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটে এবং দেশের মানুষ নিশ্চিত হয় যে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে শুরু হয়ে গেছে।
অস্থায়ী সরকার গঠন
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার -এর আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা হয় কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমা (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথ তলার অন্তর্গত ভবেরপাড়া গ্রামে। শেখ মুজিবুর রহমান এর অনপুস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রপতি করে সরকার গঠন করা হয়। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদ এর উপর।
যুদ্ধক্ষেত্র
১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচলনায় অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য সমগ্র ভূখন্ডকে বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্র বা সেক্টরে ভাগ করা হয। শেখ মুজিব রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং অপার ভালোবাসা,বাঙালি মুুুুক্তিকামি মানুুষের মধ্যে স্বাধীন চেতনা জাগ্রত করে।যার ফলাফল আমরা পাই স্বাধীনতা।