2021-04-04 ~ Easy Solution

৮ম শ্রেনী কৃষি এসাইনমেন্ট উওর ২০২১

 তথ্যের উৎসঃ

নির্ধারিত কাজঃ

কাজের বর্ননাঃ



১ নং প্রশ্নের উত্তর : ধান, পাট, গম, আখ , চাষযােগ্য কৈ মাছ , মিষ্টি জাতের আম , মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৮৮ টি ইনব্রিড। ও ৬ টি উচ্চফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। পরমাণু শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৮ টি গুরুত্বপূর্ণ। ফসলের মােট ১০৮ টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাঞ্চন করেছে এবং দেশের কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলছেন ।


২ নং প্রশ্নের উত্তর : আমাদের দেশের বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। । কষিতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য। উন্নত দেশের মতাে আমাদের দেশেও বিভিন্ন গবেষণা। ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব ইনস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ।

যা ১০৩ টিরও বেশি ফসলের কৃষি বিষয়ক গবেষণা | কার্যক্রম পরিচালক্ষ করে । প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের।

জয়দেবপুরে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশের চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি | বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়ানাের পাশাপাশি | শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে কষি। সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা কৃষকদেরকে অবহিত করেন।


৩ নং প্রশ্নের উত্তর : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রতিকুল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযােগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন । বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬ টি (৯৯ টি ইনব্রিড ও ৭ টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। তম্মধ্যে । বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কিরণ ও দিশারি’ নামের দুইটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ।


৪ নং প্রশ্নের উত্তর :  কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য যে যে জাত উদ্ভাবন করেছেন- যা কষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা। | নিচে বর্ণনা করা হল। ফুলের পরাগায়নের সময়। পিতৃগাছের গুণাগুণ যুক্ত হওয়ার সুযােগ থাকে কিন্তু | অঙ্গজ প্রজননে সে আশঙ্কা থাকে না । ফসলের বীজ | ও নতুন নতুন জাত উন্নয়ন , বীজ সংরক্ষণ, রােগ। -বালাইয়ের কারণ সনাক্তকরণ, ফসলের পুষ্টিমান। বাড়ানাে- এ সকল কাজই কৃষিবিজ্ঞানীরা করে থাকেন বিজ্ঞানীদের পরামর্শে কৃষকেরা কলা, আম, লিচু, কমলা , গােলাপ ইত্যাদির উৎপাদনে অঙ্গজ প্রজনন । ব্যবহার করে থাকেন । কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলাে কৃষকরা গ্রহণ করেছেন বলেই উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা, যব এইসব শস্যের উৎপাদনশীলতা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ফুল, ফল , শাকসবজি ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন। এগুলাের সাথে সংকরায়ন করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন, | যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ।


৫ নং প্রশ্নের উত্তর : কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় । কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীল্পি অন্যতম চালিকাশক্তি । জীবন জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি । ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কষির উন্নয়ন মানে | দেশের সার্বিক উন্নয়ন। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ । এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লােক গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪% লােকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১ % লােকের কৃষিখামার রয়েছে। মােট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের। অবদান ১৯.১% এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১% , মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ধান, পাট, তুলা , আখ, ফুল ও রেশমগুটির চাষসহ বাগান সম্প্রসারণ , মাছ চাষ , সবজি চাষাবাদ ও পােস্টি, ডেইরী ও মৎস্য খামার করে মানুষ দিনকে দিনকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। । দেশে পােষ্ট্রি একটি শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বাজারে মাছের একটা বড় অংশ এখন আসছে চাষকৃত মাছ থেকে। দেশ অজি চালে উদ্বৃত্ত; ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ ।


নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত এবং বিশ্বে সপ্তম । দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম । কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন এনেছে। উৎপাদনে বৈচিত্র্য বেড়েছে, সেই সাথে প্রতিযােগীতা। বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে পুঁজির ব্যবহার । মাছি, মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । তাই বলা যায়, এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের

৭ম শ্রেনী কৃষি এসাইনমেন্ট উওর ২০২১

 তথ্যের উৎসঃ

নির্ধারিত কাজঃ

কাজের বর্ননাঃ


১নং প্রশ্নের উত্তর

পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণে কৃষকের ভূমিকা নিচে দেওয়া হল:-


মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো হলো:  (i) খাদ্য (ii) বস্ত্র (iii) বাসস্থান (iv) চিকিৎসা (v)  শিক্ষা


একজন কৃষক দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু দেশের চাহিদা পূরণ করার আগে সে তার পরিবারের চাহিদা পূরন করে। কৃষির মাধ্যমে আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা. বিনোদন ইত্যাদি পুরণ হয়ে ধাকে। বিভিন্ন ফসল উৎপাদন, পশুপাখি প্রতিপালন, মৎস্য চাষ ও বনায়নের মাধ্যমে কৃষকরা তাদের পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে ধাকেন।


২নং প্রশ্নের উত্তর

তার কার্যক্রম পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তাগুলো নিচে দেওয়া হল:


একজন আদর্শ কৃষক পরিবারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পরিবারকে অর্থনৈতিক ভাবে সচল করতে পারে। কৃষিকাজের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন করে পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে উপার্জিত অর্থ পরিবারের যেকোনো ক্ষেত্রে সহজেই ব্যবহার করতে পারেন।


৩নং প্রশ্নের উত্তর

আমার গ্রামের অন্যান্য কৃষিজীবীদের স্বাবলম্বী করতে তিনি বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পারবেন।


কৃষি উন্নয়নের প্রয়োজনে এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন চাহিদা মেটাতে কৃষিভিত্তিক শিল্প যেমন- বস্ত্র, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষিযস্ত্র ইত্যাদির গ্রকে একে বিকাশ ঘটতে লাগলো। বেশী উৎপাদনের জন্য পুঁজি বিনিয়োগ বাড়তে লাগল। যার ফলে অধিকাংশ মানুষ কৃষির দিকে ঝুকে পড়ে। একজন সার্থক কৃষক সঠিকভাবে কৃষিকাজ করে জন্যান্য কৃষিজীবিদের- আদর্শ হতে পারেন। অন্যসব কৃষকদেরও স্বাবলম্বী করতে পারেন।গ্রামের বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন। গ্রামের কুষকদের সঠিক তথ্য দিয়ে কৃষি কাজে সহায়তা করতে পারেন। যার ফলে, গ্রামের কৃষিজীবীরা বেশি ফসল উৎপাদন করতে পাররে। এভারে আনা কষিজীবিরাও স্বাবলম্বী হতে পারেন।



ষষ্ঠ শ্রেনী কৃষি এসাইনমেন্ট ২০২১

 তথ্যের উৎসঃ

নির্ধারিত কাজঃ

কাজের বর্ননাঃ



সূচনাঃকৃষি মানবজাতির আদিমতম

পেশা হিসেবে চিহ্নিত। মানুষের জীবনধারনের জন্য শষ্য উৎপাদন কিংবা গৃহপালিত পশু রক্ষণাবেক্ষনের জন্যে যথোচিত খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহসহ বহুবিধ উদ্দশ্যে প্রতিপালনের লক্ষ্যে কৃষিকার্য নির্বাহ করা হয়। আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলো (যেমনঃখাদ্য,বস্এ,বাসস্থান চিকিৎসা ও শিক্ষা) বিভিন্নভাবে কৃষিকাজের মাধ্যমে আদিকাল থেকে পূরন হয়ে আসছে।আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলো পূরনের মাধ্যমে কৃষি কাজ ও কৃষি শিল্পের পরিধি ব্যাখ্যা করা হলোঃ


মৌলিক চাহিদা -১(খাদ্য)ঃকৃষিই আমাদের খাবারের যোগান দেয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় প্রধান খাদ্য হলো চাল। চাল থেকে ভাত তৈরি করা হয়।সেই ভাতের যোগান পাই কৃষিকাজে ধান চাষ করে। তাছাড়াও গম থেকে রুটি তৈরি করা হয়। গম চাষ হয় কৃষিতে।

ভুট্টাও তাই।শাকসবজি চাষ হয় কৃষিকাজে। তাছাড়া যেকোনো ধরনের ফলমূল মসলা সবকিছুই কৃষি নির্ভর। 


মৌলিক চাহিদা ২(বস্তু)ঃমানুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হলো বস্ত।আর বস্ত তৈরীর মূল উপকরন সুতা।আর এই সুতা তৈরী হয় পাট,তুলা রেশম, তিসি বা ফ্লাক গাছ থেকে।যার সবগুলো কৃষিযাত।


মৌলিক চাহিদা -৩ (বাসস্থান)

বাসস্থান মানুষের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা হিসেবে যাকে গণ্য করা হয় তা হল বাসস্থান। বাসস্থান তৈরির প্রধান উপকরণ বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে বাঁশ, কাঠ, খড়, বেত, গোলপাতা , ছন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় কৃষি পণ্য থেকে। এছাড়া শহরে ইটের গাঁথুনির বাড়িগুলােতে নকশা, ছাদ তৈরি ও দরজা জানালা তৈরিতে কাঠজাত কৃষিদ্রব্য ব্যবহার করা হয় ।


মৌলিক চাহিদা -৪ ( শিক্ষা)

শিক্ষা কথায় আছে, শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায় এবং একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ দেশের সম্পদ। আর এই শিক্ষার প্রধান উপকরণ যেমন- কাগজ , পেন্সিল তৈরি হয় কৃষিদ্রব্য বাঁশ, কাঠ, আখের ছােবড়া, ধানের খড়, রাবার, আঠা ইত্যাদি কৃষি পণ্য থেকে আসে ।


মৌলিক চাহিদা-৫ ( চিকিৎসা )

চিকিৎসা চিকিৎসা হল মানুষের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা । রােগব্যাধির চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি হয়। এ ওষুধ মানুষের। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য এবং রােগ প্রতিরােধ করার জন্য বর্তমানে অ্যালােপ্যাথি (হারবাল), হােমিওপ্যাথি ইউনানী , আয়ুবের্দিক বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয় কৃষিজাত দ্রব্য দিয়ে । এছাড়া জীবন রক্ষাকারী পেনিসিলিন তৈরি হয় এক ধরনের ছত্রাক উদ্ভিদ থেকে। আমলকি,হরতকি, বয়রা , থানকুনি পাতা , বাসক ইত্যাদির উদ্ভিদের ঔষধি গুণ রয়েছে; যা আমাদের বিভিন্ন রােগ-ব্যাধি হতে সুস্থ্য হতে সহায়তা করে ।


উপসংহার : কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা তথা খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন, শিম্পায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, গ্রামীণ নারী–পুরুষের এবং বিশেষ করে শিশুদের পুষ্টি সাধনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে । আমাদের মােলিক চাহিদার সবগুলােই আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। আশার কথা হলাে- বর্তমানে কৃষির পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ আগের থেকে বেশি কৃষির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণ যুব সমাজ নিজেদেরকে কৃষি পেশায় নিয়ােজিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে । সরকারি-বেসরকারিভাবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কৃষির অবদান দিন দিন বেড়েই চলছে।