তথ্যের উৎসঃ
নির্ধারিত কাজঃ
কাজের বর্ননাঃ
১ নং প্রশ্নের উত্তর : ধান, পাট, গম, আখ , চাষযােগ্য কৈ মাছ , মিষ্টি জাতের আম , মাল্টা ইত্যাদি উদ্ভাবনে কৃষিবিজ্ঞানীদের নিরলস পরিশ্রম ও গবেষণায় অবদান রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ৮৮ টি ইনব্রিড। ও ৬ টি উচ্চফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। পরমাণু শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৮ টি গুরুত্বপূর্ণ। ফসলের মােট ১০৮ টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাঞ্চন করেছে এবং দেশের কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলছেন ।
২ নং প্রশ্নের উত্তর : আমাদের দেশের বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এসব নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন। । কষিতে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য। উন্নত দেশের মতাে আমাদের দেশেও বিভিন্ন গবেষণা। ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব ইনস্টিটিউট ও প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানীরা কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য অবদান রেখে চলেছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ।
যা ১০৩ টিরও বেশি ফসলের কৃষি বিষয়ক গবেষণা | কার্যক্রম পরিচালক্ষ করে । প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরের।
জয়দেবপুরে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশের চারটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি পূর্ণাঙ্গ ভেটেরিনারি | বিশ্ববিদ্যালয় চালু রয়েছে। প্রায় সকল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়ানাের পাশাপাশি | শিক্ষকগণ গবেষণা করে থাকেন। তাদের গবেষণায় প্রাপ্ত উন্নত জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি সম্পর্কে কষি। সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা কৃষকদেরকে অবহিত করেন।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে প্রতিকুল ও অপ্রতিকূল পরিবেশ উপযােগী উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন । বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এই পর্যন্ত ১০৬ টি (৯৯ টি ইনব্রিড ও ৭ টি হাইব্রিড) উচ্চ ফলনশীল আধুনিক ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। তম্মধ্যে । বন্যার শেষে ধান চাষের জন্য বিলম্ব জাত হিসেবে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কিরণ ও দিশারি’ নামের দুইটি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে ।
৪ নং প্রশ্নের উত্তর : কৃষিবিজ্ঞানীরা ধানছাড়াও অন্যান্য যে যে জাত উদ্ভাবন করেছেন- যা কষকেরা মাঠে চাষাবাদ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা। | নিচে বর্ণনা করা হল। ফুলের পরাগায়নের সময়। পিতৃগাছের গুণাগুণ যুক্ত হওয়ার সুযােগ থাকে কিন্তু | অঙ্গজ প্রজননে সে আশঙ্কা থাকে না । ফসলের বীজ | ও নতুন নতুন জাত উন্নয়ন , বীজ সংরক্ষণ, রােগ। -বালাইয়ের কারণ সনাক্তকরণ, ফসলের পুষ্টিমান। বাড়ানাে- এ সকল কাজই কৃষিবিজ্ঞানীরা করে থাকেন বিজ্ঞানীদের পরামর্শে কৃষকেরা কলা, আম, লিচু, কমলা , গােলাপ ইত্যাদির উৎপাদনে অঙ্গজ প্রজনন । ব্যবহার করে থাকেন । কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলাে কৃষকরা গ্রহণ করেছেন বলেই উচ্চ ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা, যব এইসব শস্যের উৎপাদনশীলতা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা নানা ধরনের ফুল, ফল , শাকসবজি ও বৃক্ষ বিদেশ থেকে এনে এদেশের কৃষিতে সংযােজন করেছেন। এগুলাের সাথে সংকরায়ন করে দেশীয় পরিবেশ সহনীয় নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন, | যেগুলাে এ দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর : কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় । কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীল্পি অন্যতম চালিকাশক্তি । জীবন জীবিকার পাশাপাশি আমাদের সার্বিক উন্নয়নে কৃষি । ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই কষির উন্নয়ন মানে | দেশের সার্বিক উন্নয়ন। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ । এদেশে শতকরা ৭৫ ভাগ লােক গ্রামে বাস করে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় ৫৯.৮৪% লােকের এবং শহর এলাকায় ১০.৮১ % লােকের কৃষিখামার রয়েছে। মােট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপিতে কৃষিখাতের। অবদান ১৯.১% এবং কৃষিখাতের মাধ্যমে ৪৮.১% , মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। ধান, পাট, তুলা , আখ, ফুল ও রেশমগুটির চাষসহ বাগান সম্প্রসারণ , মাছ চাষ , সবজি চাষাবাদ ও পােস্টি, ডেইরী ও মৎস্য খামার করে মানুষ দিনকে দিনকে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। । দেশে পােষ্ট্রি একটি শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বাজারে মাছের একটা বড় অংশ এখন আসছে চাষকৃত মাছ থেকে। দেশ অজি চালে উদ্বৃত্ত; ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ ।
নিবিড় চাষের মাধ্যমে বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত এবং বিশ্বে সপ্তম । দেশে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। আম উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম এবং পেয়ারায় অষ্টম । কৃষি উৎপাদনের এই অগ্রগতি গ্রামীণ মানুষের জীবনধারায় পরিবর্তন এনেছে। উৎপাদনে বৈচিত্র্য বেড়েছে, সেই সাথে প্রতিযােগীতা। বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে পুঁজির ব্যবহার । মাছি, মুরগি ও ডিম উৎপাদন প্রায় শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । তাই বলা যায়, এ সমস্ত কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের মাধ্যমে বেকার মানুষের কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের