তথ্যের উৎসঃ
নির্ধারিত কাজঃ
কাজের বর্ননাঃ
সূচনাঃকৃষি মানবজাতির আদিমতম
পেশা হিসেবে চিহ্নিত। মানুষের জীবনধারনের জন্য শষ্য উৎপাদন কিংবা গৃহপালিত পশু রক্ষণাবেক্ষনের জন্যে যথোচিত খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন ও সরবরাহসহ বহুবিধ উদ্দশ্যে প্রতিপালনের লক্ষ্যে কৃষিকার্য নির্বাহ করা হয়। আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলো (যেমনঃখাদ্য,বস্এ,বাসস্থান চিকিৎসা ও শিক্ষা) বিভিন্নভাবে কৃষিকাজের মাধ্যমে আদিকাল থেকে পূরন হয়ে আসছে।আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলো পূরনের মাধ্যমে কৃষি কাজ ও কৃষি শিল্পের পরিধি ব্যাখ্যা করা হলোঃ
মৌলিক চাহিদা -১(খাদ্য)ঃকৃষিই আমাদের খাবারের যোগান দেয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় প্রধান খাদ্য হলো চাল। চাল থেকে ভাত তৈরি করা হয়।সেই ভাতের যোগান পাই কৃষিকাজে ধান চাষ করে। তাছাড়াও গম থেকে রুটি তৈরি করা হয়। গম চাষ হয় কৃষিতে।
ভুট্টাও তাই।শাকসবজি চাষ হয় কৃষিকাজে। তাছাড়া যেকোনো ধরনের ফলমূল মসলা সবকিছুই কৃষি নির্ভর।
মৌলিক চাহিদা ২(বস্তু)ঃমানুষের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হলো বস্ত।আর বস্ত তৈরীর মূল উপকরন সুতা।আর এই সুতা তৈরী হয় পাট,তুলা রেশম, তিসি বা ফ্লাক গাছ থেকে।যার সবগুলো কৃষিযাত।
মৌলিক চাহিদা -৩ (বাসস্থান)
বাসস্থান মানুষের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা হিসেবে যাকে গণ্য করা হয় তা হল বাসস্থান। বাসস্থান তৈরির প্রধান উপকরণ বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে বাঁশ, কাঠ, খড়, বেত, গোলপাতা , ছন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় কৃষি পণ্য থেকে। এছাড়া শহরে ইটের গাঁথুনির বাড়িগুলােতে নকশা, ছাদ তৈরি ও দরজা জানালা তৈরিতে কাঠজাত কৃষিদ্রব্য ব্যবহার করা হয় ।
মৌলিক চাহিদা -৪ ( শিক্ষা)
শিক্ষা কথায় আছে, শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায় এবং একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ দেশের সম্পদ। আর এই শিক্ষার প্রধান উপকরণ যেমন- কাগজ , পেন্সিল তৈরি হয় কৃষিদ্রব্য বাঁশ, কাঠ, আখের ছােবড়া, ধানের খড়, রাবার, আঠা ইত্যাদি কৃষি পণ্য থেকে আসে ।
মৌলিক চাহিদা-৫ ( চিকিৎসা )
চিকিৎসা চিকিৎসা হল মানুষের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা । রােগব্যাধির চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি হয়। এ ওষুধ মানুষের। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য এবং রােগ প্রতিরােধ করার জন্য বর্তমানে অ্যালােপ্যাথি (হারবাল), হােমিওপ্যাথি ইউনানী , আয়ুবের্দিক বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয় কৃষিজাত দ্রব্য দিয়ে । এছাড়া জীবন রক্ষাকারী পেনিসিলিন তৈরি হয় এক ধরনের ছত্রাক উদ্ভিদ থেকে। আমলকি,হরতকি, বয়রা , থানকুনি পাতা , বাসক ইত্যাদির উদ্ভিদের ঔষধি গুণ রয়েছে; যা আমাদের বিভিন্ন রােগ-ব্যাধি হতে সুস্থ্য হতে সহায়তা করে ।
উপসংহার : কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা তথা খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন, শিম্পায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, গ্রামীণ নারী–পুরুষের এবং বিশেষ করে শিশুদের পুষ্টি সাধনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে । আমাদের মােলিক চাহিদার সবগুলােই আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। আশার কথা হলাে- বর্তমানে কৃষির পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ আগের থেকে বেশি কৃষির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণ যুব সমাজ নিজেদেরকে কৃষি পেশায় নিয়ােজিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে । সরকারি-বেসরকারিভাবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কৃষির অবদান দিন দিন বেড়েই চলছে।
0 Comments:
Post a Comment