2020 ~ Easy Solution

কুইজ পর্ব ৪

.”মানুষের অন্তর্নিহিত পরিপূর্ণ বিকাশই হল শিক্ষা।” – স্বামী বিবেকানন্দ

১.বিড়ালের চোখ রাতের বেলায় জ্বল জ্বল করে কেন?

উওরঃ টেপেটাম নামক রঞ্জনক কোষের কারনে

২.টেলিস্কোপ আবিস্কার করেন কে?

উওরঃ কেপলার 

৩.মৌমাছির চাষ পদ্ধতি কে কি বলে?

উওরঃ এপিকালচার

৪.কত কিলোবাইটে এক মেগাবাইট? 

উওরঃ ১০২৪ কিলোবাইটে

৫.ATM এর পূর্ণরূপ কি?

উওরঃ Automated Teller Machine

৬.P.M পূর্ণরূপ কি?

উওরঃ post meridies

৭.A.M  এর পূর্নরূপ কি?

উওরঃ Anti Meridies

৮.মানুষের শরীরে হাড়ের সংখ্যা কত?

উওরঃ ২০৬

৯.ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপক যন্ত্রের নাম কি?

উওরঃ সিসমোগ্রাফ 

১০.টিভির রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহৃত হয় কোন তরঙ্গের মাধ্যমে? 

উওরঃ ইনফ্রারেড তরঙ্গ

কুইজ পর্ব ১৫ শেষ হলেই আয়োজন হবে প্রতিযোগিতা।তাই সবাইকে প্রশ্নগুলো সঠিক ভাবে শিখার জন্য আহ্বান করা হলো।


রামগঞ্জ উপজেলা

বাংলাদেশের লক্ষীপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা রামগঞ্জ উপজেলা।১৯৮১ সালে রামগঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়।১৯৮৩ সালের মার্চ মাসের ৩ তারিখে ইহা থানাতে পরিনত হয়। রামু নামক এক প্রভাবশালি ব্যক্তির নামে রামগঞ্জ নামকরন করা হয়। নির্বাচনি এলাকা জাতীয় সংসদ আসন ২৭৪ (লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ)।ইহার আয়তন ১৬৯.৩১ বর্গ কিলোমিটার বা ৬৫.৩৭ বর্গমাইল। ২০১১ আদমশুমারী অনুসারে লোক সংখ্যা ৩,৪২,০২৭ জন।  তার মধ্যে ৮০,২৬৭ জন পুরুষ এবং মহিলা ৯১,০২৫ জন।জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৯২%।প্রতি বর্গকিলোমিটার ২০২০ জন বাস করে। স্বাক্ষরতার হার ৮০%।রামগঞ্জ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়ন রয়েছে।১২৬টি গ্রাম।২৪২টি মসজিদ। ২১ টি মন্দির। 

ইউনিয়ন গুলো ধারাবাহিক ভাবে দেওয়া হলো।কাঞ্চনপুর,নোওয়াগা,ভাদুর,ইছাপুর, চন্ডিপুর,লামচর,দরবেশেপুর,করপাড়া,ভোলাকোট,ভাটরা।

উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হলো

রামগঞ্জ সরকারি কলেজ। রামগঞ্জ মডেল কলেজ।


রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়-

রামগঞ্জ এম ইউ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় দল্টা ডিগ্রি কলেজ। দল্টা রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। ভাটরা উচ্চ বিদ্যালয়। ভাটরা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। নারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়। কালিকাপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়। রাঘবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

দর্শনীয় স্থানঃ

রামগঞ্জ শিশু পার্ক, কাঞ্চনপুর দর্গা, শ্যামপুর দায়রা শরীফ, রাজাপুর বিল (রাঘবপুর)।ঐদারা দীঘি,শ্রীরামপুর রাজ বাড়ি।

রামগঞ্জ সম্পর্কে আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানান।

আত্মনির্ভশীলতা

আমাদের সমাজে পরনির্ভরশীলতা যেন দিন দিন এক ধরনের ব্যাধিতে পরিনত হচ্ছে। মানুষের মহৎ গুনগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আত্মনির্ভরতা। মানুষের জীবনে আত্মনির্ভরতাই উত্তম সহায়ক হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া স্রষ্টা তাদেরকে সহায়তা করে যারা নিজেদের সহায়তা করে।প্রত্যেকেই নিজের সামর্থ্যের মধ্যে থেকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে সমাজের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে।

আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য আগে সবার উচিৎ  তাদের সবল ও দূর্বল দিকগুলো খুঁজে নেওয়া দরকার।এর কারন হলো সব মানুষের সবকিছু করার সার্মথ্য এক নয়

আমরা সবাই জানি পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি। অলসরা চিরকাল পিছিয়ে পড়ে।একজন ব্যাক্তি যখন পরিশ্রম বিমুখী হয় তখন সে সমাজের বোঝা হওয়ার পাশাপাশি একটা নিষ্ক্রিয় বস্তুতে পরিনত হয়।আত্মনির্ভরশীলতার অন্যতম শর্তহলো 

পরিশ্রমতা।

আত্মনির্ভরশীলতার অন্তরায় হচ্ছে লক্ষহীনতা এবং হতাশা।

পালবিহীন নৌকার মত অগ্রসর হতে গিয়ে  মাঝ নদীতে আছড়ে পড়তে হয়।ফলে সফলতা না পাওয়ায় সে হাতাশায় নিমগ্ন হয়।

কিন্তু বুঝতে হবে ব্যর্থতা হলো সফলতার পথনির্দেশক।

তাই আমাদের উচিৎ আত্মনির্ভরশীল হয়ে নিজেকে পরিবর্তনের পাশাপাশি সমাজের পরোক্ষ আর্বজনাকে নির্মূল করা।


আমার গল্প

আমি স্বপ্ন দেখেছি,আমার স্বপ্নের পিছনে সময় দিয়েছি।কিন্তু ব্যর্থতার বেড়াজালে আমি বার বার আটকা পড়েছি।তবুও হাল ছেড়ে নি।সে বিষয়ের সার সংক্ষেপ বলেছি আমার প্রথম পোষ্টে "সফলতার টিপস" পড়তে চাইলে,এখানে ক্লিক করুন
<a href="https://easysolutionsufal.blogspot.com/2020/11/blog-post.html?m=1"target="_ self">সফলতার টিপস</a>
জীবন নামক যুদ্ধে আমি হার না মানা সৈনিক হতে চাই। দেখিয়ে দিতে চাই আমি সফল।আমার চারপাশের মানুষ গুলোর হাসি ঠাট্টা বিদ্রুপ কে দোয়া আর ভালোবাসা হিসেবে নিতে চাই।
ব্লগার হিসেবে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করতে চাই।আমার ইচ্ছা যদি আমি ব্লগিং জগতে সফল হই,আমি আমার চারপাশের গাইডলাইন বিহীন জনিয়ারদের ব্লগিং এবং ফেসবুক প্রমোট এবং বুষ্টার সম্পর্কে আগ্রহী করবো।
অনেক শিক্ষার্থী প্রাইভেট বানিজ্যের চাপাকলে পড়ে তাদের পড়ালেখার সরলপথ হারিয়ে পেলে।আমি চাই আমার ব্লগের সাহায্যে যেনো দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোনো শিক্ষার্থী শিক্ষার সুফল ভোগ করতে পারে।
যারা স্টুডেন্ট লাইফে একটু ইনকামের স্বপ্ন দেখে ব্যর্থ তাদের জন্য মেসেজ হলো আমার ব্লগ সাইট গুগুল এডসেন্স পেলে তাদের জন্য উন্মুক্ত আয়ের ব্যবস্থা থাকবে।যদি কেউ আমার স্বপ্নের ক্যানভাসে ঘুরে আসতে চান তারা এখানে ক্লিক করেন।
 <a href="https://easysolutionsufal.blogspot.com/"target="_ self">আমার স্বপ্নের ক্যানভাস<\a>
এই পোস্টি যদি কোনো ভাবে আপনাদের উপকারে আসে তাহলে কমেন্ট করুন এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত জানান।নতুন পোষ্ট সবার আগে পেতে আমার সাইটকে ফলো করুন।
ধন্যবাদ পোস্টি পড়ার জন্য।

কৃষি এসাইনমেন্ট অষ্টম শ্রেণি ২০২০

গ)আমরা জানি,
পুকুরে মাছ ছাড়ার পূর্বে পুকুর প্রস্তুত করতে শতক প্রতি ইউরিয়া সার প্রয়োজন ১০০-১৫০ গ্রাম

অর্থাৎ
১ শতক জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োজন ১০০-১৫০ গ্রাম
সুতরাং ৫ শতক জমিতে ইউরিয়া সার প্রয়োজন=(১০০-১৫০)×৫
                =(৫০০-৭৫০)গ্রাম
যেহেতু মিনার বেগমের জমি ৫ শতাংশ তাই তার ৫০০-৭৫০ গ্রাম সার প্রয়োজন।

ঘ) প্রশ্ন: মিনারা বেগমের উদ্যোগটি মূল্যায়ন কর।

উত্তর: মিনারা বেগমের উদ্যোগটি মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি। নিম্নে এ উদ্যোগটির মূল্যায়ন করা হলাে:

উদ্দীপকের মিনারা বেগম একই পুকুরে বিভিন্ন মাছ চাষ করার উদ্যোগ নেন। যেমন: সিলভার কার্প, রুই, কাতলা ও কার্পিও ইত্যাদি। তাছাড়াও যে সব প্রজাতির মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাদ্য নিয়ে প্রতিযােগিতা করে না, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে, এসব গুণের কয়েক প্রজাতির মাছ একই পুকুরের মধ্যে একত্রে চাষ করাকে মূলত মিশ্র মাছ। চাষ পদ্ধতি বলে।

এছাড়াও তিনি পুকুর প্রস্তুত করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরণ করেন:

চুন প্রয়ােগ: পুকুরে তিনি চুন প্রয়ােগ করার মাধ্যমে পুকুরের পানি জীবাণু মুক্ত করে এবং পানির ঘােলাটে অবস্থা দূর করে। সার প্রয়ােগ: পুকুরের প্রাকৃতিক খাদ্যের জন্য তিনি সার প্রয়ােগ করেছেন।

এছাড়াও মৎস্য কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করার মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। উপরিউক্ত বিষয়গুলাে পর্যালােচনা করলে বােঝা যায় যে, মিনারা বেগমের উদ্যোগটি ছিল মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি।

২) : পলিব্যাগে চারা তৈরী সুবিধাজনক কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: যে নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে সেই নার্সারিকে। পলিব্যাগ নার্সারি বলে। বিভিন্ন ধরনের ফল ও বনজ গাছের চারা উৎপাদনের জন্য সরাসরি বীজ অথবা অঙ্কুরিত বীজ পলিব্যাগে বপন করা যায়।

পলিব্যাগ নার্সারিতে চারা উৎপাদনের অনেক সুবিধা রয়েছে। নিম্নে সেই সুবিধাগুলাে সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে:

(১) হালকা ও সহজেই পরিবহন করা যায়।

(২) পলিব্যাগের চারা রােপণ করা সহজ ও চারার মৃত্যুহার কম।

(৩) পলিব্যাগ উৎপাদিত চারার পরিচর্যা করা সহজ এবং পরিবহনে চারার কোনাে ক্ষতি হয় না।

(৪) যে কোনাে মাপের এবং ঘনত্বের তৈরি করা যায়।

(৫) মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়।

সুতরাং বলা যায়, পলিব্যাগে চারা তৈরী অনেক সুবিধাজনক।


সপ্তম শ্রেনীর কৃষি এসাইনমেন্ট ৬ষ্ঠ সপ্তাহ

 ক)ফসলের মৌসম বলতে কি বুঝ?

উওরঃএকটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে তার শারীরিক বৃদ্ধি ও ফুল ফল উৎপাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ঐ ফসলের মৌসুম বলে।অর্থাৎ ফসলের বীজ বপন থেকে আরম্ভ করে ফসল সংগ্রহ করার সময়কালকে ফসলের মৌসুম বলে।

খ) রবি ও খরিপ ফসলের পার্থক্য লিখ?

উওরঃরবি মৌসু১.আশ্বিন থেকে ফাগুন মাস পর্যন্ত সময়কে রবি মৌসুম বলে।

২.এ মৌসুমে তাপ ও আদ্রতা কম থাকে।

৩.এই মৌসুমে ঝড় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।

৪.রোগ ও পোকার আক্রমণ কম হয়

খরিপ মৌসুমঃ১.চৈএ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত সময়কালকে খরিপ মৌসুম বলে।

২.এই মাসে তাপমাএা ও বায়ুর আদ্রতা একটু বেশী থাকে।

৩.বৃষ্টি ও ঝড় হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি। 

৪.রোগ ও পোকার আক্রমণ হয় বেশি। 

৩)মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান গুলো কী কী?

উওরঃ মুরগি পালনে, মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যতম প্রধান বিষয়। মুরগির পরিমিত সুষম খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পুষ্টি উপাদানগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মুরগির পুষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
১.শর্করাঃ গম, ভুট্টা, চালের খুদ, চালের গুড়া, গমের ভূষি ইত্যাদি।
২.আমিষঃ শুটকি মাছের গুড়া,সয়াবিন তেল, তিলের খৈল,সরিষার খৈল ইত্যাদি।
৩.স্নেহঃ সয়াবিন তেল,সরিষার তেল,তিলের তেল ইত্যাদি।
৪.খনিজঃ খাদ্য লবন, হাড়ের গুড়া, ঝিনুক ও শামুকের গুড়া, ভিটামিন, খনিজ মিশ্রণ।
৫.ভিটামিনঃ শাক সবজি, ভিটামিন মিশ্রণ ইত্যাদি।
৬.পানিঃ টিউবয়েল ও কূপের বিশুদ্ধ পানি।
৪)মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উওরঃমুরগি পালনে মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয়। তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমানে পানি পান করে। তাই মুরগি খামারে খাদ্য ও পানি দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।

মুরগির খাদ্য উপাদানে পর্যাপ্ত পরিমান শর্করা, আমিষ, খনিজ লবণ, স্নেহ ও ভিটামিন জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। সুষম খাবারে মুরগির দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো উপস্থিত থাকে।বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝরা শস্য, পোকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই এরা পরিমিত সুষম খাবার পায় না। যার ফলে মুরগি থেকে প্রত্যাশিত ডিম ও মাংস পাওয়া যাবে না। বাচ্চা মুরগি দৈনিক ১০ থেকে ১৫ গ্রাম এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগি প্রায় ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম খাদ্য খেয়ে থাকে।

তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমানে পানি পান করে থাকে। তাই খামারে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ থাকতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগিকে দৈনিক ২০০ মিলিলিটার  বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়।

তাই মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি গুরুত্বপূর্ণ।

সপ্তম শ্রেনীর বাংলা এসাইনমেন্ট ২০২০

ঢাকা

১৩ ই নভেম্বর ২০২০

প্রিয় নাফিস,

আমার প্রীতি ও ভালােবাসা নিশ। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালাে আছিস। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালাে আছি। সম্প্রতি জানতে পারলাম আমার খেলার সাথী সাজিদ করােনা ভাইরাসে আক্রান্ত। খবরটি শুনে আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তবে আশার কথা এই যে ওর শারীরিক অবস্থা অনেকটা ভালাে আছে। ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী বাসাতেই ট্রিটমেন্ট নিচ্ছে।

সাজিদের পরিবারের সাথে কথা বলে বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাছাড়া সাজিদের সাথে যােগাযােগ করেছি এবং ওকে সাহস দিয়েছি। শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্য বন্ধুকে ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। প্রথমে ওর অসুস্থতার কথা শুনে আমার মনের অবস্থা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছিল।


পরবর্তীতে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে সান্ত্বনা দিলেন এবং করােনা পরিস্থিতিতে নিজের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি বন্ধুর জন্য পরম করুনাময় মহান আল্লাহতালার কাছে দোয়া করতে বললেন। আমার বন্ধু। সাজিদের জন্য দোয়া করিস যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।পশাপাশি নিজেও সচেতন থাকিস।আমি এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া করিস।
ইতি
তোমার বন্ধু
মহিন

সফলতার প্রতিবন্ধক

একটি শিশুর দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন তাকে হাঁটা শিখানোই বড় মুশকিল।কিন্তু একবার হাঁটা শিখে গেলে,তাকে আর দৌড় দেওয়া শিখানো লাগেনা।অর্থাৎ আপনি যখন প্রথম স্টেপটা সুন্দরভাবে সর্ম্পণ করবেন পরবর্তী স্টেপ গুলো ধারাবাহিক ভাবে সুন্দরভাবে সর্ম্পূণ  হবে।

এখন তাহলে আমরা প্রথম স্টেপটা কেন সর্ম্পূণ করতে পারিনা।তার কারন গুলো উল্লেখ্য করার চেষ্টা করলাম।

১.পাছে লোকে কিছু বলে।

২.সিদ্ধান্তহিনতা

৩.উচ্চ বিলাসী কল্পনা

৪.যোগত্য ও কাজের অসামঞ্জস্যতা

৫.ধৈর্যের অভাব

৬.শর্টকাট পন্থা 

৭.নিজেকে বড় মনে করা এবং পরামর্শ কে নীচু চোখে দেখা।

৮.আর্থিক অসচ্ছলতা বড় করে দেখা।

৯.স্বল্প সময়ে বড়লোক হওয়ার চিন্তা

১০.সিস্টেমিক পব্লেম।

বাস্তবতা কে কাজে লাগিয়ে সফলতার পথে হাঁটতে হবে।

আপনি যদি আপনার সমস্যাগুলো সমাধান করতে না পারেন তাহলে সফলতা আপনার জন্য নয়।

"আপনি নিজকে কাজের জন্য প্রস্তুত করুন কাজ আপনাকে সাহায্য করবো"

পড়ালেখার আসল উদ্দেশ্য

প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী পড়ালেখার ইতি টানছে আবার হাজারো শিক্ষার্থী হাতে খড়ি দিচ্ছে। কিন্তু আমরা আসলে কেউ জানি না পড়ালেখার আসল উদ্দেশ্য কি?যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় তুমি কেন পড়ালেখা করছো? তার প্রথম উওর হবে পরীক্ষা ভালো ফলাফল করার জন্য।অথবা বলবে চাকুরি পাওয়ার জন্য।
আত্নবিশ্বাস,আত্মনির্ভরশীল হওয়া,পড়ালেখা এই তিনটা শব্দ বিচ্ছিন্ন হলে ও আসলে তিনটি শব্দ একটি সরলরেখার উপর তিনটি বিন্দুর মতো।
যদি পরীক্ষার কয়েকটি পাতা কাহারো জীবন মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট হতো তাহলে নিউটন,আইনেষ্টেনদের মত বিদ্যা গবেষক দের নাম হইতো না।
তারা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল বা চাকুরী পাওয়ার জন্য স্টাডিকে বাছাই করে নাই।
তাই বলে পড়ালেখা অহেতুক একটা বিষয় তা কিন্তু একদম না

তুমি যদি নিজেকে বর্তমান অবস্থানের চেয়ে ভালো অবস্থানে নিতে চাও তাহলে পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই। নিজের জীবনকে সুন্দর করতে হলে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সে বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা থাকা লাগে। আর নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেয়ার জন্য, নিজেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে নেয়ার জন্য হলেও পড়াশোনা করাটা জরুরি।
আসুন তাহলে পড়ালেখার পাশাপাশি পড়ালেখার উদ্দেশ্য টা খুঁজে বের করি
আজ এখানে সমাপ্ত। আগামি পোস্টে আবার কথা হবে

বই পড়ার প্রতি আগ্রহ

"Whenever  you are reading a good book
 Somewhere in the world a door opens to
         allow in more light"_____Vera Nazirian
বই শব্দটা আমাদের অনেকের কাছেই একটা ভীতিকর একটা শব্দ।তার উপর বই পড়া যদি হয় শখ কিংবা অভ্যাসের তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয়? প্রথমত আপনি যদি অতীতে, বইয়ের উপর তীব্র বিদ্বেষ পোষণকারী হয়ে থাকেন এবং বর্তমানে বিদ্বেষ ভুলে সৌহার্দ্য স্থাপন করতে চান, তবে প্রথমে আপনাকে  খুঁজে বের করতে হবে কোন বিষয়ে আপনার আগ্রহ আছে। টেক্সট বইয়ের বাইরে বই পড়াকে যখন আপনি অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলতে চান, তখন অবশ্যই আপনাকে আগ্রহের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

        "ভালো বই পড়া মানে গত শতাব্দীর সেরা                          মানুষে সাথে কথা বলা"

  আপনার প্রিয় রঙের রঙিন  কলমটি হাতে নিয়ে আপনার পছন্দ করা বইটির আর্কষিত লাইন গুলো দাগিয়ে দিয়েন

আপনার পঞ্চইন্দ্রিয় কে জাগিয়ে তুলুন এবং সাহিত্যিকের ভাষাকে কল্পনাতে রুপ দিন।

বই পড়ার অভ্যাসটা মানুষের এক দুই দিনে হয় না।মোটিভেশনাল কথা গুলো শুনে যদি মনে করেন আপনি এখন থেকে বই পড়া শুরু করবেন তাহলে আপনাকে স্বাগতম তবে তা যেন গুটি কয়েক দিনের জন্য না হয়।

অন্ততঃ প্রতি মাসে একটা ভালো বই পড়ার চেষ্টা করুন। একজন মানুষের সুন্দর ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে ভালো বই পড়ার মাধ্যমে।

যদি বই পড়ার অন্তরায় আপনার আর্থিক সমস্যা হয় তাহলে মন খারাপ করেবনা গুগুল,প্লে স্টোর, pdf, থেকে সহজে বই পড়তে পারেন।আপনার কাছের পাঠগার থেকে বই সংগ্রহ করুন।খবরের কাগজের সাহিত্যের কলামটা পড়ুন।

আপনি যে বইটা পড়লেন তা থেকে কি রস আসাসাদ্বন করলেন তা আপনার বন্ধু,প্রতিবেশি,পরিবার যেকাউকে শেয়ার করুন।তা না করতে পারলে সে বিষয়ে ফেসবুকে একটা পোস্ট করুন তাহলে আপনার মনোবল বৃদ্ধি পাবে।

"সব অভ্যাসই  ভালো,তবে তা যদি না হয় বদ অভ্যাস"
                                                  _____মজিবুল
আপনার মনোবলই আপনার বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে পারে।আগামি পর্বে বিশিষ্ট লেখক হুমায়ন আহম্মদ স্যারের অনেকগুলো বইয়ের লিস্ট দিমু।আরো যদি কাহারো কোন বইয়ের pdf প্রয়োজন হয় তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
পোস্টটি শেয়ার করে অন্যকে বই পড়তে আগ্রহি করুন।ধন্যবাদ পোস্টি পড়ার জন্য।

বইয়ের নেশা

            "Reading is to the mind what exercise is

             to the body ___Joseph Addison 

বই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।যার মাধ্যমে পার্থিব কোনো কিছুর তুলনা হয় না।বই মানুষের পরম বন্ধু। বই পড়ার কোনো সাইড এফেক্ট নেই।অন্য সবকিছুর ই সাইড এফেক্ট আছে।আজ পর্যন্ত কোনো মানুষ বই পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নাই।বরং তার আর ও উন্নতির শিখরে তুলে দিয়েছে।

পৃথিবীর বড় বড় মনীষীদের বায়োগ্রাপি পড়লে আমরা জানতে পারি যে তারা কতটা বই প্রেমিক ছিলো।বিশ্বের ২য় বৃহত্তম ধনী বিল গেটস বছরে ৫০ টি বই পড়ে।Mark Cuban  প্রতিদিন ৩ ঘন্টার বেশী বই পড়েন।Elon Musk রকেট সায়েনোর বিদ্যা বই পড়ে অর্জন করেছে।

সবচেয়ে বড় নেশা ভাবা হয় মাদকের নেশাকে।তবে তা ভুল;বইয়ের নেশা মাদকের নেশাকেও হার মানাবে।আমি বা আপনারা লক্ষ্য করলেই দেখবেন বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ তাদের অবসর সময় কে বই পড়ে পার করতে চায়।তারা অন্য কোনো উপায়ে ও করতে পারতো? তা কিন্তু না। বই আসলে তাদের জন্য যার বইকে ভালোবাসে।

সুতরাং " বই হলো সফলতার সহজ সমাধান__মজিবুল

পরবর্তী পোস্টে, কীভাবে বই পড়ার প্রতি আগ্রহি হতে হয় সে বিষয়ে লিখবো। আশা করি আপনারা আমার সাথেই থাকবেন এবং পোস্টি শেয়ার করে দিয়ে অন্যকে বই পড়ার সম্পর্কে জানতে সক্রিয় করবেন।

সফলতার টিপস

সফলতার সাথে ধৈর্যের ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।আমার জীবনের একটি কথা শেয়ার করি। এইচ এস সি পর থেকে অনলাইনে টাকা আয় করার তিব্র নেশা কাজ করতে থাকে এবং না বুঝেই ইউটিউবের চোখ ধাধানো বিঞ্জাপনে ঝুকে পড়তাম।কিন্তু দিন শেষে হতাশা ছাড়া আর কিছু পেতাম না।পরবর্তীতে কোনো দক্ষতা ছাড়াই ফাইভার ফ্লাট ফর্মে কাজ করতে যাই, সেখানে সাসপেন্ড হয়ে যাই।তারপর আত্মবিশ্বাস নিয়ে টেকনলজি বি ডি সাইটের এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ব্লগিং জগতে প্রবেশ জানি না কতটুকু সফল হবো তবে আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ ভরসা করে আমার প্রথম পোষ্ট করলাম।আমি জানি আমার আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট।